শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ অপরাহ্ন
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
বিভিন্ন গাছ দিয়ে তৈরি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশ পথ সহ স্কুলের চারপাশ। নানারকম সবুজ গাছ ও লতাপাতা দিয়ে তৈরি হয়েছে স্কুলের সকল কিছু, স্কুলে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার, অবসর সময় কাটানোর বেঞ্চ, স্কুলের ছাউনি। বিভিন্ন আনুসাঙ্গিক দিয়ে তৈরি নান্দনিক এসব কারুকাজ দেখে মুগ্ধ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। নান্দনিক এসব কারুকাজ দেখতে ভিড় করছেন শিক্ষার্থীরা। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দিলাল মিয়ার আচরণে মুগ্ধ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা সহ সকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বৃন্দ।
বলছি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের করাচাপুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১৩ জন শিক্ষক এবং ৫৮৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় চত্বরে নান্দনিক স্থাপনা দেখতে এসে ছবি তুলে স্মৃতি ধরে রাখছেন কেউ কেউ। আপলোড করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে- প্রায় দুই বছরের অধিক সময় ধরে এই সৌন্দর্যবর্ধনের
সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন গাছ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন কিছু চোখে পড়ে নান্দনিক কারুকাজ। স্কুলে রয়েছে গাছ দিয়ে তৈরি সুসজ্জিত বেড়া ও বিভিন্ন স্থাপনা। স্কুলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থাপনাগুলো হল শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা, বসার স্থান, ঘরের ছাউনি প্রভৃতি। সব কিছুর সবুজ রঙে তৈরি হয়েছে অপরূপ দৃশ্য। এতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে পাচ্ছে মনোরম পরিবেশ। ফলে পড়াশোনার ফাঁকে তারা সময় কাটাতে পারছে। সঙ্গে দর্শনার্থীরাও ঘুরতে আসছে এ স্কুলে।
এই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম কামাল বলেন, আমাদের গ্রামের এমন একটা দৃষ্টিনন্দন স্কুলে আছে এটা দেখতে দুর দুরান্ত থেকে আমদের গ্রামের মানুষ আসে এটা দেখে আমাদের ভালো লাগে। শিক্ষার্থীরাও আগ্রহ নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসে। সুন্দর পরিবেশ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের
এক প্রকৃতি প্রেমী এই প্রতিনিধিকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি দেখে আমরা মুগ্ধ। স্কুলের মাঠ পার্কের মতো সুন্দর করে সাজানো। সব কিছু দেখে খুব ভালো লাগল।
স্কুলশিক্ষার্থী
মুক্তিযুদ্ধা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দিলাল মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ে অবস্থা আগে এমন ছিলো না।পরিকল্পিতভাব
তিনি আরও বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার বিভিন্ন কাজের প্রতি আগ্রহ ছিল। সেই আগ্রহ থেকেই স্কুলটিকে মনের মতো করে তৈরি করেছি। দৃষ্টিনন্দন এই স্কুল এক দিকে যেমন শিক্ষার্থীদের ক্লাসের পাশাপাশি বিনোদন দিচ্ছে, তেমনি স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানাবে।
মোহনগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনসারী বলেন, আমি মোহনগঞ্জ উপজেলায় যোগদান করার পর থেকেই উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে পরিবর্তন এসেছে। উপজেলার দৃষ্টিনন্দন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। স্কুলের সুন্দর পরিবেশ দেখে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা নিজেরাও মুগ্ধ আমরা ও মুগ্ধ।